Published Date : 19-08-05
192 Views
- রাজনীতি কী: রাজনীতি ইংরেজি পতিশব্দ “Politics” হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যাদ্বরা নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। রাজনীতি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত।রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি শাখা যা রাজনৈতিক আচরণ শেখায় এবং ক্ষমতা গ্রহণ ও ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে। রাজনৈতিক চিন্তার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের রাজনীতি এবং কনফুসিয়াসের কিছু উল্লেখযোগ্য রচনাতে।
- রাজনীতির উদ্ভব: মানবসভ্যতার বিকাশ এর সাথে সাথে রাজার রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে ঘটেছে ও পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা এবং রাজনৈতিক কলা কৌশল ও পরবর্তীকালের আধুনিক রাজনীতির শ্রেণী বিভাজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানমূলক চিন্তাধারার উত্থান ঘটিয়েছে। মেকিয়াভেলী রচিত “The Prince” গ্রন্থটি রাজতন্ত্রের চরিত্র ও স্থায়ীত্ব নিয়ে বলিষ্ঠ বিশ্লেষণ করেছে। রাজনীতি হলো এককথায় এক বিশেষ রাজত্ব কেন্দ্রিক নীতি বা রাজার নীতি এটি একটা বিশেষ চেতনা বা আদর্শ।
- রাজনৈতিক দুর্নীতি: রাজনৈতিক নেতারা জেতার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে এবং এই পথগুলো খারাপ হলেও তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই এমনকি মানুষদের হত্যা করতে কিংবা কোন সমস্যা তৈরি করতে পিছুপা হয়না এর জন্য সমাজের অনেক ক্ষতি হয়।
- বিশ্বের ইতিহাসে বিভিন্ন দিকের যেমন (কোনো সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক,প্রভৃতি) বিভিন্ন কার্যকলাপ স্বরূপ আমরা বিভিন্ন রকমের হত্যার ঘটনা জানতে পারি। এই ” হত্যা ” শব্দের অর্থ হল মারা যাওয়া আবার অপরদিকে হত্যা কথাটি ” শহীদ ” শব্দের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে বোঝানো হয়ে থাকে। শহীদ শব্দটি হল একটি এরাবিক শব্দ, ইহা এসেছে কুরআনিক এরাবিক শব্দ হিসেবে। ইহার অর্থ হল সাক্ষ্য দানকারী। এই সম্মানসূচক শব্দটা কেবল সে সব মুসলমানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- বিশ্বের ইতিহাসের প্রতিটি পাতাতে অনেক হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ্য কিংবা বিবরণ পাওয়া যায়। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্যআলোচ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নিম্নরূপ হল:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহম লিঙ্কন | ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল |
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহম গ্যারফিল্ড | ১৮৮১ খ্রীষ্টাব্দের ২ জুলাই |
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহম ম্যাককিনলি | ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দের ৬ সেপ্টেম্বর |
অস্টিয়ার আর্চ ডিউক ফ্রান্সিস ফার্ডিনান্ড | ১৯১৪ খ্রীষ্টাব্দের ২৮ জুন |
সেভিয়েত ইউনিয়নের জার্নিকোলাস দ্বিতীয় | ১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দের ১৬ জুলাই |
রুশ নেতা লিও ট্রটস্কি | ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের ২১ আগস্ট |
ভারতের মহান নেতা মহাত্মা গান্ধী | ১৯৪৮ খ্রীষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি |
পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খাঁ | ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দের ১৬ অক্টোম্বর |
ইরাকের রাজা ফৈজল | ১৯৫৮ খ্রীষ্টাব্দের ১৩ জুলাই |
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এম.বন্দরনায়ক | ১৯৫৯ খ্রীষ্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর |
কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রী লুমুম্বা | ১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি |
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল করিম কাসেম | ১৯৬৩ খ্রীষ্টাব্দের ৮ ফ্রেরুয়ারি |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জে.এফ.কেনেডি | ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ৫ এপ্রিল |
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জিগামী দোরজি | ১৯৬৮ খ্রীষ্টাব্দের ৪ এপ্রিল |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষনাঙ্গ নেতা ডাঃমার্টিন লুথার কিং | ১৯৭৫ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট |
বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মুজিবর রহমন | ১৯৭৮ খ্রীষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল |
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ দাউদ | ১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৩০ আগস্ট |
ইরানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আলী রাজাই এবং প্রধানমন্ত্রী হোজাতোলে সালাম | ১৯৮৪ খ্রীষ্টাব্দের ৩১ অক্টোম্বর |
মহম্মদ জাফেদ বাহোনার | ১৯৮৮ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ জুলাই |
ভাতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী | ১৯৯১ খ্রীষ্টাব্দের ২১ মে |
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী | ১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দের ৩১ আগস্ট |
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী | ১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দের ২ নভেম্বর |